বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা বর্তমান সময় শুধু উপকূল অঞ্চলের মানুষই সামুদ্রিক মাছ খেতে পছন্দ করেন এমন নয়। বরং উপকূল অঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি সারাদেশের মানুষের সামুদ্রিক মাছ খেতে বেশি পছন্দ করেন।
কারণ সামুদ্রিক মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি শরীরের জন্য অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। বহুল প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায় যা মানুষের শরীর এবং মনের তৃপ্তির জোগাড় দেয়।
সামুদ্রিক মাছ কেন খাওয়া উচিত
বাংলাদেশ মানেই মাছে ভাতে বাঙালি। বাঙ্গালিদের মাছ ভাত পেলে আর কি লাগে। সামুদ্রিক মাঠে অনেক পুষ্টিগুণ এবং সুস্বাদু হওয়ায় উপকূল অঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি বর্তমান সময়ে সারা দেশের মানুষের সামুদ্রিক মাছ খেতে বেশি পছন্দ করেন।
সামুদ্রিক বেশ কিছু জনপ্রিয় মাছ পাওয়া গেলেও এর মধ্যে কিছু জনপ্রিয় মাস হলঃ-ইলিশ, রূপচাঁদা, ছুরি, চিংড়ি, টুনা, লইটা, কোরাল, চেলা, বিভিন্ন প্রজাতির স্যামন ইত্যাদি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় সামুদ্রিক মাছ। সামুদ্রিক মাছ যেমন সুস্বাদু তেমনি শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের খুব ভালো মানের উৎস এই সামুদ্রিক মাছে রয়েছে।
এছাড়াও সামুদ্রিক মাছের দুই ধরনের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়। এ কথা জানা যায় যে, ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের শরীর নিজ থেকে উৎপন্ন হতে সক্ষম নয়। সুতরাং সামুদ্রিক মাছের যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড উৎপন্ন হয় তাই সামুদ্রিক মাছ শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
এছাড়াও সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং প্রচুর পরিমাণে মিনারেল পাওয়া যায় অনেক পরিমাণে ক্যালরিযুক্ত থাকে। যার ফলে, শরীরের উত্তর রক্তচাপ কমিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। সামুদ্রিক মাছের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো ভিটামিন ডি যা আমাদের শরীরের আয়োডিনের অভাব পূরণ করে। সুতরাং আমাদের প্রত্যেকের উচিত পরিমাণ অনুযায়ী সামুদ্রিক মাছ খাওয়া।
বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের ছবি এবং নাম
ম্যারিন ফিস
সামুদ্রিক মাছে কি কি থাকে
সামুদ্রিক মাছ অনেক পুষ্টিগুণ নিয়ে পরিপূর্ণ। সামুদ্রিক মাছ শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স সব ধরনের কার্যকর। ১০০ গ্রাম সামুদ্রিক মাছ থেকে প্রায় ৪২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। আয়োডিন, সেলেনিয়াম জিংক এবং পটাশিয়াম সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকে। এছাড়াও শরীরের কার্যক্রম বৃদ্ধি করে এমন সবচেয়ে কার্যকরী ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও এই সামুদ্রিক মাছেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। হাইট অ্যাটাকে ঝুঁকি কমায়।
বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ বৈচিত্র্য
মহাসমুদ্রে যেমন কার্যকরী মাছ রয়েছে তেমনি কিছু ব্যতিক্রমী এবং ভয়ঙ্করই বিভিন্ন রকমের মাছের বসবাস হয়েছে। সম্প্রতি আটলান্টিক মহাসাগরের স্ক্যানারি দ্বীপের সুখেতে দেখা গেছে এক বিরল প্রজাতির ওয়ারফিস। এটিকে অফশকুন মাছ, বা বিপদের সংকেত বলা হয়ে থাকে। সম্প্রতি এই মাস সমুদ্রের মহা বিপদ মাছ নামেও আখ্যা পেয়েছেন।
পরিশেষে
যেখানে ভালো থাকবে সেখানে খারাপ থাকবে এটাই প্রকৃতির নিয়ম। তবে, সব ভালোর মাঝে যেমন ভালো নেই ঠিক তেমনি সব খারাপের মাঝেও খারাপ নেই। মহা সমুদ্রে বিভিন্ন প্রজাতির এবং প্রাণী পাওয়া গেলেও এর এক অংশ সমগ্র পৃথিবীর মানুষ শরীরে জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ সামুদ্রিক মাছে রয়েছে এক ধরনের মোহ ঔষধ যা শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকারী। আবার সমুদ্রের এক অংশে রয়েছে অনেক ভয়ংকরী দানব। যা যে কোন সময়ে বিপদে আনতে পারে।
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url