বাংলাদেশ স্টারলিং -যেভাবে সংযোগ দেওয়া হয়
স্টারলিং কি? স্টার্লিং ব্যবহারের নিয়মস্টার্লিং হলো স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা। পৃথিবীর কক্ষে অনেক ছোট ছোট স্যাটেলাইট আবর্তন করে আর সেই স্যাটেলাইটকে ব্যবহার করে স্টাইলিং স্টারলিং গ্রাহকদের মাঝে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করে।
বর্তমান সময়ে স্টাইল লিংকের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। যেহেতু, প্রত্যন্ত এবং দুর্যোগময় পরিস্থিতিতেও স্টাইল লিংক সচ্ছলভাবে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করতে পারে তাই স্টার্লিং এর ব্যবহারও দিন দিন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্টার লিঙ্ক আমেরিকান প্রযুক্তিতে তৈরি স্পেস এক্স দ্বারা পরিচালিত স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবস্থা, যা আগেকার অপটিক্যাল ফাইবার ইন্টারনেট ব্যবহারে বর্তমানে ইস্টার লিংক এর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়।
বাংলাদেশের স্টার লিংক এর আবির্ভাব বা সূচনা
স্টার্লিং বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ২০২৫ সালের ২৫ মে তারিখে। স্পেস এক্স-এর মালিকানাধীন এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবাটি বাংলাদেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করবে বলে ধারণা করা যায়।
- বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম," দি ডেইলি ইত্তেফাক" এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা জানিয়েছেন। এছাড়াও ইস্টার লিংকের নিজস্ব টুইটার পেজের মাধ্যমেও এই ঘোষণা নিশ্চিত করেছেন।
- ডাক যোগাযোগ ব্যবস্থা, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব এই স্যাটেলাইট ভিত্তিক ষ্টার লিঙ্কের বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলোর মাধ্যমে।
- স্টাইলিং হল-লো আর্থ্র অরবিট (LEO) স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করে থাকে, যা পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করে।
- ইস্টার লিঙ্ক বাংলাদেশে দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। যা হল-ইস্টারলিং রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট
- বাংলাদেশের স্টারলিং ব্যবহারের জন্য স্পেস এক্স কোম্পানির সাথে ১০ বছরের জন্য চুক্তি সাইন করেছে।
- বাংলাদেশের উন্নত অবকাঠামোর জন্য স্টার্লিং বাংলাদেশ প্রযুক্তি, অর্থনীতী,ই-লার্নিং, শিল্পখান এবং নারীর ক্ষমতায়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
- স্টার লিঙ্ক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এবং স্যাটেলাইট কেন্দ্রীক হওয়ায় প্রত্যন্ত এবং দুর্যোগ ময় পরিস্থিতিতেও সফলভাবে সেবা প্রদান করে থাকে।
বাংলাদেশের যেভাবে স্টারলিংক সংযোগ দেওয়া যায়?
বাংলাদেশের গ্রাহকরা সরাসরি স্টার লিংকের অফিসিয়ালি ওয়েবসাইটে গিয়ে স্টার লিংকের অর্ডার দিতে হবে । তাদের নিজস্ব ওয়েব সাইটে অর্ডার করতে, প্রথমে আপনাকে আপনার সম্পূর্ণ ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার প্রেরণ করতে হবে এবং তার নিশ্চিত হতে হবে যে তাদের কাছে আপনার অর্ডারটি পৌঁছেছে কিনা। তারপর একটি সার্ভিস প্লান বেছে নিয়ে হার্ডওয়ার কিট কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ টিভিতে ওয়াইফাই সংযোগ করা
যেহেতু, সিস্টার লিঙ্ক বাংলাদেশের দুটি প্যাকেজ নিয়ে চালু হয়েছে তাই আপনি কোন প্যাকেজটি নিতে ইচ্ছুক তা তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে জানাতে হবে। starlink যেহেতু স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা সমূহ সুতরাং স্টাইল লিংক সংযোগের জন্য উন্নত মানের স্যাটেলাইট ডিশ, ওয়াইফাই রাউটার, মাউন্টিং টাইপাড এবং ক্যাবলের প্রয়োজন হয়। স্টারলিং অপটিক্যাল ফাইবার ইন্টারনেট এর মতই সংযোগ প্রদান করা সহজ।
বাংলাদেশের স্টার লিংক সংযোগে কেমন খরচ?
ইস্টার লিঙ্ক, বাংলাদেশের দুটি প্যাকেজ দিয়ে তাদের যাত্রা শুরু করেন। একটি হলেও ইন্টারনেট রিডেনশিয়াল এবং অপরটি হল রিডেনশিয়াল লাইট। যেহেতু স্টাইল লিংক এর যাত্রা বাংলাদেশে প্রথম তাই এটি একটু ব্যয়বহুল। ইন্টারনেট রেডিয়ান শিয়াল প্যাকেজটির খরচ প্রতি মাসে ৬০০০ টাকা এবং রেডিয়ানশিয়াল লাইট প্যাকেজটির খরচ প্রতিমাসে ৪২০০ টাকা। এছাড়াও উভয় প্যাকেজ এর জন্যই যন্ত্রপাতি খরচ বাবদ আরও ৪৭ হাজার টাকা বা তার বেশি খরচ হতে পারে।
উপসংহার
বর্তমান বিশ্বকে আরো উন্নত করার একধাপ অগ্রগতি হলো স্পেস এক্স এর কঠোর পরিশ্রমের ফল স্টার্লিং। স্টার্লিং হল স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা যা প্রত্যন্ত এবং দুর্যোগময় পরিস্থিতিতেও সফলভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করতে পারে। বর্তমান সময়ে বিশ্বের প্রায় ১২৫টির বেশি দেশে পদার্পণ রয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশের একটি। ছোট্ট এই দেশের আরো উন্নতি যুক্ত ঘটাতেই স্টার লিংক এর বিকল্প ভার।
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url