উন্নত জাতের ১০ টি পেয়ারার জাত

 ফরমালিনযুক্ত আম খাওয়ার অপকারিতা কৃষিতে আধুনিকায়নের ফলে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পেয়ারার ও বেশ কয়েকটি উন্নত জাত রয়েছে যা সারা বছর চাষ করা যায় এবং উচ্চ ফলনশীল।

উন্নত জাতের ১০ টি পেয়ারার জাত
 আর উচ্চ ফলনশীল পেয়ারা চাষ করে অল্প পরিশ্রমে কৃষকের অধিক লাভবান হচ্ছেন। আজ আমরা এমনই ১০ টি উন্নত জাতের পেয়ারার জাত নিয়ে আলোচনা করব।

উন্নত জাতের ১০ টি পেয়ারার জাত কি কি?

  • বারি পেয়ারা-১
  • বারি পেয়ারা-২
  • বারি পেয়ারা-৩
  • বাউ পেয়ারা-১
  • বাউ পেয়ারা-২
  • বাউ পেয়ারা-৩
  • বাউ পেয়ারা-৪
  • বাউ পেয়ারা৫
  • বাউ পেয়ারা-৬
  • বাউ পেয়ারা৭
  • বাউ পেয়ারা-৮
  • এবং, স্বরুপকাঠি
উক্ত জাতগুলো অধিক উন্নত হওয়ায় এতে অল্প পরিশ্রমে কয়েকগুণ বেশি হারে এর ফলন পাওয়া যায়। এছাড়াও পেয়ারার আরও বেশ কিছু জাত থাকলেও এই জাতগুলোই উন্নত বলে ধারণা করা হয়।

"বারি পেয়ারা-১" জাতের পেয়ারা

"বারি পেয়ারা-১" জাতের পেয়ারা
"বারি পেয়ারা-১" একটি জনপ্রিয় পেয়ার জাত যা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবন করেছেন। অনেকে এই পেয়ারা কে কাজী পেয়ারা হিসেবেও চিনে। এই জাতের পেয়ারা বেশ গোলাকৃতির এবং বৃত্তাকার হয়। এ জাতের পেয়ারা গুলি পাকলে বেশ আকর্ষণীয় হয় এবং খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।

"বারি পেয়ারা-২" জাতের পেয়ারা

"বারি পেয়ারা-২" জাতের পেয়ারা
"বারি পেয়ারা-২" জাতের পেয়ারা গুলি তাদের উচ্চ ফল এবং আকারে বড় জাতের ফলের জন্য বাংলাদেশের বেশ জনপ্রিয়। এ জাতের পেয়ারা গুলি সারা বছরই চাষ করা যায়। এই জাতের ফল পাকলে ফলের ভিতরের অংশ হালকা হলুদ এবং সবুজ রংয়ের হয়ে থাকে। এই জাতের পেয়ারা গুলি আকারে বেশ বড় হয় এর অনেক সুনাম রয়েছে।

"বারি পেয়ারা-৩" জাতের পেয়ারা

"বারি পেয়ারা-৩" জাতের পেয়ারা
"বারি পেয়ারা-৩" জাতির পেয়ারা গুলির ভিতরের শ্বাস লাল রঙের এবং পাকলে এদের গায়ের রং সবুজ থেকে হালকা হলুদ বর্ণের হয়ে যায় বলে এরা বেশ পরিচিতি। এদের আকৃতি ও বেশ বড় হয় গড়ে প্রায় ১৮০ গ্রাম করে একটা ওজন হয়।

"বাউ পেয়ারা-১" জাতের পেয়ারা

"বাউ পেয়ারা-১" জাতের পেয়ারা
"বাউ পেয়ারা-১" জাতের পেয়ারা হল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক উদ্ভাবিত একটি উন্নত জাতের পেয়ারা জাত। এই জাতকে আবার বামন যাতো বলা হয়। এ জাতের পেয়ারা গুলি বছরে নিয়মিতভাবে ফল দেয়। "বাউ পেয়ারা-৪" জাতের ফলগুলো সাধারণত ডিম্বাকার আকারের হয় এবং পরিপক্ক অবস্থায় এদের গায়ের রং হালকা সবুজ রং হয়। "বাউ পেয়ারা-১" অনেকগুলোই জাত রয়েছে-("বাউ পেয়ারা-১" থেকে "বাউ পেয়ারা-৮") । সবগুলো জাত একই হলেও এদের বৈশিষ্ট্য এবং এদের উচ্চ ফলন এবং ফলের আকারের ওপর এদের ভিন্নতা প্রকাশ পায়।

"স্বরুপকাঠি" জাতের পেয়ারা

"স্বরুপকাঠি" জাতের পেয়ারা
"স্বরুপকাঠি" জাতের পেয়ারা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় জাত। তবে, বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলায় এই জাতের পেয়ারা বেশ বিখ্যাত। অনেকে আবার এই জাতির পেয়ারা কে বাংলার আপেল বলে অভিহিত করে থাকেন। এর স্বাদ এবং এর পুষ্টিগুণ অন্যান্য পেয়ারার চেয়ে কয়েকগুণ এগিয়ে। এই পেয়ারার আকাশ যেমন বড় তেমনি এর পুষ্ট অনেক বেশি। "স্বরুপকাঠি" জাতের পেয়ারা চারা আষাঢ় মাসের শুরুর দিকে রোপন করা হয়ে থাকে।

বর্তমান সময়ে কৃষকেরা একটু লাভের আশায় নানা জাতের পেয়ারা চারা রোপন করে থাকে। তবে আমি বলব প্রতিটা কৃষকের উচিত লাভের জন্য হলেও উন্নত জাতের চারাগুলোই রোপন করা ভালো। তবে অধিক লাভের জন্য শুধু চারা রোপণ করলেই না তারা রোপনের পাশাপাশি প্রয়োজন চারার উপযুক্ত পরিচর্যা।





ধন্যবাদ


এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url