করোনা ভাইরাস রোধে করণীয় উপায়
শীতে শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিন্তে প্রয়োজনে ১০ টি উপায় করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে ২০১৯ এবং ২০২০ সালে সারা বিশ্ব এক ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।
নতুন করে আবার সেই মহামারী করোনাভাইরাসের আক্রমণ দেখা যাচ্ছে। নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রমণের কারণে এখন অনেকেরই জ্বর এবং শুকনো কাশি অথবা সমস্ত শরীর ব্যথা অনুভব এমন লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলে মানুষের মধ্যে সে ভয়াবহ আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। যেহেতু আমরা আগেই এই পরি ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছি তাই আমাদের এই উপসর্গগুলি থেকে বা করোনা ভাইরাস রোদে করণীয় উপায় নিয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। আজ আমরা করোনাভাইরাস রোদে করণীয় উপায় নিয়ে নিম্নে আলোচনা করব-
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে করণীয় কি?
সর্বপ্রথম আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এবং নিশ্চিত হওয়ার পরে আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে এবং নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আলাদা করে নিতে হবে, এমনকি আপনার দৈনন্দিন ব্যবহৃত জিনিসপত্র আলাদা করে নিতে হবে। করোনাভাইরাসের প্রথম উপসর্গগুলো হল-জ্বর, সর্দি কাশি এবং প্রচন্ড শরীর ব্যথা অনুভব করা। পরবর্তীতে, আপনাকে করানো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিতকরণে আপনাকে নমুনা পরীক্ষা করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মাঙ্কি পক্স-রোগের লক্ষণ ও কারণ
করোন ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কোন ধরনের সমস্যা হয়?
বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ২০১৯ সালের ৩১ শে মার্চ করনা ভাইরাসের সনাক্ত করা হয়। ২০২৫ সালে নতুন করে আবার করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব প্রকাশ পায়। 2020 সালের একটি তথ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে যেসব সমস্যা হয় তা আলোচনা করা হলো-
- শুকনো কাশি- 60.4%
- জ্বর- 55.5%
- শ্বাসকষ্ট- 41.1%
- গলা ব্যথা - 31.2%
- ক্লান্তি - 68.3%
উক্ত সমস্যাগুলো করোনা ভাইরাসের প্রকোপেই সৃষ্টি হয় যার ফলে মানুষ ক্রমশ দুর্বল অনুভব করে ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে কি কি ওষুধ খাবেন?
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোন প্রকার ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। কারণ করোনা ভাইরাস একটি মারাত্মক মহামারী। ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অবশ্যই বিশ্রাম, প্রচুর পরিমাণে তরল পানীয় পান করা, এবং প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা যেতে পারে। তবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে অবশ্যই স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর কতদিন থাকে?
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হলে জ্বর সাধারণত বেশি দিন স্থায়ী থাকে না। সাধারণ জ্বর হলে জ্বর তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসে। কিন্তু, যদি জ্বর তিন থেকে চার দিন বা তার বেশি থাকে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসে তাহলে অবশ্যই আপনাকে করোনার নমুনা পরীক্ষা করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ঘরোয়া উপায় কি?
করোনা ভাইরাস একটি মারাত্মক মহামারী। তাই কোন ব্যক্তি যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তাহলে সর্বপ্রথম আক্রান্ত ব্যক্তিকে সব স্থান থেকে আলাদা করে রাখতে হবে। এমনকি তার ব্যবহৃত জিনিসপত্র গুলো কেউ আলাদা করে রাখতে হবে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকরী এবং ঘরোয়া উপায় গুলো হলো-
- যথাযথ সময়ে সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধোবেন
- হ্যান্ডশেক করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে
- সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে
- হাসি বা কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে
এছাড়াও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং ওষুধ সেবন করা প্রচুর পরিমাণে তরল পানীয় পান করা এবং নিজেকে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া।
উপসংহার
2019-20 সালে করণা ভাইরাস যে মহামারী সৃষ্টি করেছে 2025 সালে তা আবার নতুন করে আবির্ভাব হয়েছে। করোনা ভাইরাস একটি মহামারী তাই আমাদের সকলের উচিত সবসময় নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করা এবং এমন কঠিন মহামারীর লক্ষণ দেখা দিলেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিজে থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দেশনা মেনে চলা সর্বোত্তম। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে মহামারী থেকে রক্ষা করুন।
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url