বাংলাদেশের অর্থনীতির সেরা ৫ যোদ্ধা
বিশ্বের সেরা দশটি মোটরবাইকবাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষি থেকে উৎপাদন্মুখী শিল্পী পরিবর্তনশীল অর্থনীতি। বাংলাদেশের অর্থনীতির যোগানদার অনেক মাধ্যমে রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি মাধ্যম হলো রেমিটেন্স এবং তৈরি পোশাক।
এছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও সুদীর্ঘ ও শক্তিশালী করার বেশ কিছু যোদ্ধা রয়েছে। আর আমরা সেসব যোদ্ধাদের সম্পর্কে জানব এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি মানদণ্ড নিয়ে আলোচনা করব-
বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমান সময়ে কি ধরনের?
বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি প্রধান উন্নয়নশীল মিশ্র অর্থনীতি যা দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে খ্যাত। বাংলাদেশের অর্থনীতির নামমাত্র পদে বিশ্বের ৩৫ তম বৃহত্তম এবং ক্রয় ক্ষমতা ক্ষমতার দিক থেকে 25 তম বৃহত্তম। ২০২৪ অর্থবছর অনুযায়ী, আগামী মূল্য জিডিপি 517. ৭ বিলিয়ন ডলার যা বাংলা টাকায়(৬৩ লাখ ১৫ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা) পৌঁছাবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল খাত কয়টি এবং কি কি?
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আসে প্রধানত পাঁচটি খাত থেকে যেমন-
- উৎপাদন খাত
- পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসা-খাত
- পরিবহন খাত
- নির্মাণ খাত
- কৃষি খাত
তবে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় যে দুটি খাত ভূমিকা পালন করছে তা হলো কৃষি এবং রেমিটেন্স।
বাংলাদেশের রেমিটেন্স খাত
প্রবাসী-প্রেরিত অর্থ বা রেমিটেন্স বাংলাদেশের অর্থনৈতিক একটি প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশি অভিবাসীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে দেশের বার্ষিক লিমিটেন্সের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের জুন মাস মোতাবেক বাংলাদেশ রেমিটেন্সের দিক দিয়ে বৃহত্তম পাপক দেশ সমূহের একটি যেখানে প্রায় 15 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লিমিটেন্স প্রেরণ করা হয়। সর্বশেষ ২০২১ ও ২২ এই দুই অর্থবছরের দেশে রেমিটেন্স এসেছে ৪৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের রেমিটেন্স তার কয়েক গুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে , যা বাংলাদেশকে আরও অর্থনীতিতে শক্তিশালী দেশ হিসেবে পরিচিত করছে।
বাংলাদেশের উৎপাদন খাত
উৎপাদন উৎপাদন বলতে ব্যবহার বা বিক্রি করার উদ্দেশ্যে শ্রম, যন্ত্র এবং সারঞ্জাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জৈব ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পণ্য সৃষ্টি বা প্রস্তুত করাকে উৎপাদন খাদ বলে। বাংলাদেশে বেশ কয়টি উৎপাদন খাত রয়েছে যা বাংলাদেশের অর্থনীতি কে আরো মজবুত করছে। এর মধ্যে আমাদের জাতীয় উৎপাদন ও আয়ের কয়েকটি খাত নিছে উল্লেখ করা হলো -
কৃষি ও বনজঃ খাদ্যশস্য, শাকসবজি এবং বনজ সম্পদ এই খাতের অন্তর্ভুক্ত।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের মেট্রো রেল
মৎস্য খাতঃ ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ নদী ও অন্যান্য জলাশয় এবং সামুদ্রিক উৎস থেকে মাছ আহরণ সহ দেশ উৎপাদনে মৎস্য খাতে অবদান ছিল তিন দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধির হার ছিল 6.18 শতাংশ।-এছাড়াও আই সি আই আর টিমুল শিল্প যেমন কয়লা, অপরিশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস শোধনাগার পণ্য, সার, ইস্পাত, সিমেন্ট এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্মিলিত এবং স্বতন্ত্র কর্মক্ষমতা পরিমান করে।
বাংলাদেশের পরিবহন খাত
বাংলাদেশের পরিবহন খাত দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দেশের মধ্যকার অবকাঠামগত উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়েছে, এবং বর্তমানে ভূম্ জল ও আকাশপথে বহু যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যা বাংলাদেশকে আরো উন্নত শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। বাংলাদেশের সর্ব মোট তিন ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে, যেমন-
- সড়ক পথ পরিবহন
- ব্যক্তিগত পরিবহন এবং
- রেলপথ পরিবহন
বাংলাদেশের নির্মাণ খাত
বাংলাদেশের নির্মাণ শিল্প খাত বিস্তৃতভাবে সরিয়ে রয়েছে। এই নির্মাণের তিনটি খাত হল-ভবন, অবকাঠামো এবং শিল্প। বিল্ডিং নির্মাণ সাধারণত আবাসিক এবং অ-আবাসিক মধ্যে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। অবকাঠামো বলতে আমরা বুঝি, হেবি সিভিল বা হেবি ইঞ্জিনিয়ারিং যার মধ্যে রয়েছে বৃহৎ গণপূর্ত, বাঁধ, সেতু, মহাসড়ক, রেলপথ, জল বা বর্জ্য জল এবং ইউটিলিটি বিতরণ। নির্মাণ শিল্পের ও মোট তিনটি খাত রয়েছে তা হলঃ-আবাসিক, বাণিজ্যিক এবং অবকাঠামো।
বাংলাদেশের কৃষি খাত
কৃষি খাত হলো বাংলাদেশের কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় খাত। ২০১৮ সালের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্য মতে, এটি মোট ক্রমশক্তির ৪০.৬ ভাগ যোগান দিয়ে থাকে এবং বাংলাদেশের জিডিপিতে এর অবদান 14.10 শতাংশ। কৃষি খাত মোট চারটি সমন্বয়ে গঠিত। যেগুলো হলঃ-
- ফসল উপখাত
- গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি উপখাত
- বন উপখাত
- মৎস্য উপাখাত
উপসংহার
বাংলাদেশের অর্থনীতি উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তবে সুষম উন্নয়্ সামাজিক নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রতি প্রস্তুতি নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে অর্থনীতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি দিন দিন বৃদ্ধি পায়।
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url