পেটের ব্যথার কারণ এবং করণীয়
যেসব খাবারে বা কারণে নবজাতক শিশুর পেট ব্যাথা হয়পেট ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী এবং বারবার ফিরে আসে যা স্বাস্থ্যের জন্য অসহনীয়। এই পেট ব্যথার কারণ হতে পারে, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস।
সাধারণত এই ব্যাধিটি টয়লেটে গেলে প্রকট আকারের ধারণ করে। এছাড়াও পেটে প্রদাহ জনিত রোগ এবং মুত্রনালীতে সংক্রমনের জন্য পেট ব্যাথা হতে পারে। গবেষণা থেকে জানা যায় যে, মূত্রনালীতে সংক্রমণ হলে বারবার পেট ব্যথা শুরু হয় এবং প্রস্রাবের সময় অসহনীয় জ্বালাও পোড়া হয়।
কেন পেট ব্যথা হয়?
বিভিন্ন কারণে পেট ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও পেট ব্যথার প্রধান কারণ হতে পারে, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস। এটার প্রধান কারণ হলো টয়লেটে গেলে এই ব্যথা তীব্র আকারে অনুভব হয়। এছাড়াও প্রদাহ জনিত কারণে ব্যাথা হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণেও দীর্ঘস্থায়ী পেটব্যথা বা বারবার পেট ব্যথা হতে পারে।
অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্যও মলত্যাগের সময় তীব্র আকারে পেট ব্যাথা অনুভব হয়। নারীদের ক্ষেত্রে, ঋতুস্রাবের সময় পেট ব্যথা হতে পারে। বিভিন্ন কারণে পেট ব্যাথা হতে পারে যেমন-পাকস্থলীর আলসার, বুক জ্বালাপোড়া, গ্যাস্ট্রিক এবং পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণের কারণেও পেট ব্যাথা হতে পারে।
পেট ব্যথার কারণ এবং ব্যাখ্যা
পেট ব্যথার অনেকগুলো কারণ থাকলেও এর মধ্যে সাধারণ কিছু কারণ হলো-
- গ্যাসের জন্য পেটব্যথা
- অম্বলের জন্য পেটব্যথা
- বদ হজমের কারণে পেট ব্যথা
- ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের জন্য পেট ব্যথা
- ভাইরাসজনিত সংক্রমণের জন্য পেটব্যথা
- আলসার
- গল ব্লাডার
- ডাইভারটিকুলাইসিস
মানব দেহে খাদ্য পরিপাক করার সময় স্বাভাবিক নিয়মে ই উপজাতক হিসেবে গ্যাস নির্গত হয়। এই গ্যাস শরীর থেকে স্বাভাবিক নিয়মে নির্গত হয়ে যায়। আঁশযুক্ত খাবার যেমন_ ডাল, শাক-সবজি ইত্যাদি হজম করার সময় বেশি পরিমাণে গ্যাস উৎপাদন হয়। আজকাল আমরা সবাই বাইরের খাবারের বেশি আসক্ত।
আরো পড়ুনঃ পেট ব্যাথার কারন ও বিভিন্ন ঔষুধের নাম
আর বাইরের খাবারের অতিরিক্ত আঁশ এবং তৈলাক্ত হওয়ার কারণে গ্যাসের পরিমাণও বেশি থাকে। যার ফলে, শরীরে গ্যাস নির্গমনের থেকে বেশি হারে গ্যাস উৎপন্ন হয়। আর এ কারণেই পরিপাকতন্ত্রে অধিক পরিমাণে সৃষ্টি হয়। যেখান থেকে পেট ব্যথার উৎপত্তি হয়। অধিক পরিমাণে পেট ব্যাথা হলে আমাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পেট ব্যাথা হলে ঘরোয়া প্রতিকার
আজকাল পেট ব্যথা একটি সাধারন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যত অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করি ততই আমাদের পেট ব্যথা থেকে শুরু করে সাধারণ সংক্রমণ গুলোই আক্রমণ হয়। পেট ব্যাথা হলে ঘরোয়া প্রতিকার-
পানিঃ পেট ব্যথা হলে প্রথমেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানি হজমে সাহায্য করে এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখে।
আঁশযুক্ত খাবারঃ বিভিন্ন ধরনের ফল, শাকসবজি, বাদাম ,বীজ ইত্যাদি আশযুক্ত খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পেট ব্যথা কমে আনে।
দইঃ দইয়ে থাকা প্রোবোয়োটিক ব্যাকটেরিয়া হোজমে সাহায্য করে। যার ফলে পেট ব্যথা কম হয়।
আদাঃ আদা মানব শরীরে হজম শক্তি বাড়ায় এবং পেটের ব্যথা কমায়। আদার রস বা আদা দিয়ে চা খেতে পারেন। এতে শরীরের জন্য উপকারী।
পুদিনা পাতাঃ পুদিনা পাতার চা পেট ফাঁপা এবং বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে।
হলুদ গুঁড়াঃ হলুদ গুঁড়ায় এন্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ রয়েছে যা পেটের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
গরম পানির ব্যাগঃ পেটে গরম পেড বা গরম পানির বেগ রাখলেও পেটের ব্যাথা অনেকটা কমতে পারে।
দ্রুত পেট ব্যথা কমানোর ওষুধ
কলি মেক্স, যা একটি এন্টি স্পাস্মোডিক ব্যথা-উপশমকারি ওষুধ যা পেটব্যথা এবং ক্রাম্প উপশম করতে কার্যকরী উপাদান। ডাক্তার যতক্ষণ পরামর্শ দেবেন ততক্ষণ পর্যন্ত এটি একটি শিশুকে দেওয়া যেতে পারে। আপনার সন্তানদের জন্য এই ওষুধটি শুরু করার আগে সর্বদা একজন ভালো মানের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
উপসংহার
পেট ব্যথার অনেকগুলো সমস্যার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার কার্যকর হতে পারে। কারণ আপনি সবসময় ডক্তর এর কাছে পৌঁছাতে বা যেতে পারবেন না। সে হিসেবে ঘরোয়া প্রতিকার একটি বিশেষ ব্যবস্থাপনা। তবে, যদি আপনার সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা আরো খারাপ অবস্থায় পৌঁছায় তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url